Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

ঘটনা সমূহ

ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

ইসলামিক ফাউন্ডেশন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণাধীন একটি সরকারী জাতীয় প্রতিষ্ঠান। মহান আল্লাহর মনোনীত একমাত্র পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা, ইসলামের যথাযথ প্রচার-প্রসারের এবং দেশের সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষের সামগ্রিক জীবন ব্যবস্থাকে প্রকৃত ইসলামের আলোকে গড়ে তোলার মহান ব্রত নিয়ে স্বাধীনতার মহান স্থপতি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালে ২২ মার্চ এক অধ্যাদেশ বলে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন এবং ২৮ মার্চ ১৯৭৫ সালে ইসলামিক ফাউন্ডেশন এ্যাষ্ট প্রনীত হয়।

 বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন কার্যক্রমের সংক্ষিপ্ত বিবরণ উপস্থাপন করা হলো

১। জাতীয় ও ধর্মীয় দিবস পালনঃ মহান বিজয় দিবস, স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, শহীদ দিবস, মে দিবস,বাংলা নববর্ষ, হজ্জ্ব ও উমরা, আশুরা, শবে মেরাজ, শবে বরাত,শবে কদর,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক অনুষ্ঠান, ঈদে মিলাদুন্নবী কর্মসূচী উদযাপন, রমযানের কর্মসূচী পালন, তাফসীর মাহফিল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক জাতীয় শিশু কিশোর সাংস্কৃতিক ও হিফজ প্রতিযোগিতা পরিচালনা, যুব ও মহিলা অনুষ্ঠান বাস্তবায়ন, বুক ক্লাব প্রতিষ্ঠা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক দেয়াল পত্রিকা প্রকাশ, জাতীয় শোক দিবস , জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম দিবস পালন (শিশু দিবস) ইসলামী সাংস্কৃতিক কার্যক্রম বাস্তবায়ন এবং সরকার কর্তৃক দেয় যে কোন দায়িত্ব তাৎক্ষনিক ভাবে বাস্তবায়ন অন্যতম।                                                                                                                                                  ২।মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা  কার্যক্রমঃ এ প্রকল্পটি ফাউন্ডেশনের একটি বৃহৎ প্রকল্প এবং শিক্ষা সম্প্রসারনে এ প্রকল্পটির ব্যাপক জন চাহিদা রয়েছে। মসজিদকে সমাজ বিনির্মানের প্রাথমিক ও কার্যকরী ইউনিট হিসাবে সত্যিকারভাবে প্রতিষ্ঠিত এবং মসজিদের ইমাম সাহেবদের সেই মহতী বির্নিমানের গর্বিত অংশীদার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে সরকার ১৯৯৩ সালে শিক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়। কার্যক্রমের ব্যাপক সাফল্যের  প্রেক্ষিতে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের ধারাবাহিকতায় অত্র জেলার ৮টি উপজেলায় কার্যক্রম যথারীত চালু রয়েছে্ । অত্র জেলায় ৪৪৪টি প্রাক-প্রাথমিক ও বয়স্ক শিক্ষা, ৪৭০টি মসজিদে পবিত্র কুরআন শিক্ষা কেন্দ্র এবং ১১টি মডেল রিসোর্স সেন্টার কাম উপজেলা সাব অফিস  ও সাধারন রিসোর্স সেন্টার চালু রয়েছে্। এ প্রকল্পে ৯৭৬ জন কর্মরত রয়েছেন। শিক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষার্থী উপস্থিতি ও অগ্রগতি  সন্তোষজনক। শিক্ষা কার্যক্রম শুরু থেকে ২০০৯ শিক্ষা বর্ষ পর্যন্ত এ জেলায় প্রায় ১,০৪,৭৫০ জন শিক্ষার্থীকে শিক্ষাদান করা হয়েছে। শিক্ষা সমাপনী শিক্ষার্থীগণ আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমে ভর্তি হয়েছে এবং ভর্তির হার প্রায় ৯২%। এ কার্যক্রম চালুর ফলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির হার বৃদ্ধি পেয়েছে এবং মান সম্মত ও গুনগত শিক্ষা নিশ্চিত হচ্ছে। চলতি ২০১১ শিক্ষাবর্ষে ৫৭৪টি প্রাক-প্রাথমিক ও ১২টি বয়স্ক কেন্দ্রে ১৭৫২০ জন  এবং ৩৪৯টি কুরআন শিক্ষা কেন্দ্রে ১২,২১৫ জন  মোট ২৯৭৩৫ জন শিক্ষার্থী পাঠরত আছে। শিক্ষার্থীগন প্রকল্প থেকে শিক্ষা উপকরণ ও সহায়ক উপকরণ (বই পুস্তক, চক, শ্লেট, ব্ল্যাক বোর্ড, সাইন বোর্ড, বসার মাদুর, ডাস্টার ইত্যাদি) বিনা মূল্যে পেয়ে থাকে। শিক্ষকগন মাসিক নির্ধারিত ৪৫০০/- সাধারন কেয়ারটেকারগণ ৫৪৮০/- ও মডেল কেয়ারটেকারগন ৬৪৬০/- টাকা সম্মানী ভাতা পেয়ে থাকেন। এ প্রকল্পটি  ইতোমধ্যেই সারাদেশে ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি করেছে। একই সাথে ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ এবং বেকারদের কর্ম সংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় উপজেলা পর্যায়ে সাব অফিস প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ১১৪৭ জন শিক্ষক, কেয়ারটেকার এবং ১৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন। কার্যক্রম নিবিড় পরিদর্শনের জন্য ফিল্ড অফিসার, ফিল্ড সুপারভাইজার ও কেয়ারটেকারগণ নিয়োজিত রয়েছেন।কার্যক্রম সুষ্ঠভাবে পরিচালনার লক্ষে উপজেলা এবং জেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং জেলা প্রশাসককে প্রধান করে উপজেলা এবং জেলা পর্যায়ে মনিটরিং কমিটি রয়েছে।

৩।  মসজিদ পাঠাগার স্থাপন প্রকল্পঃ মসজিদে নববীর আলোকে বাংলাদেশের মসজিদ সমূহকে গড়ে তোলার লক্ষে এবং মসজিদগুলোকে ইসলামিক জ্ঞান চর্চার ও প্রচারের কেন্দ্র বিন্দু হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশ্যে ১৯৭৯-৮০ অর্থ বছর থেকে প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিবছর জেলার বিভিন্ন মসজিদে লক্ষ লক্ষ টাকার বই ও আসবাবপত্র বিনা মূল্যে পুস্তক ও আলমিরা সরবরাহ করা হয়ে থাকে। এ পর্যন্ত প্রায় ৩৫০টি মসজিদে বিনামূল্যে লক্ষ লক্ষ টাকার পুস্তক বিতরণ করা হয়েছে। এ সকল পাঠাগার স্থাপনের ফলে জেলায় হাজার হাজার পাঠক সৃষ্টি হয়েছে ও সৎ মানুষ তৈরী হচ্ছে এবং নৈতিক শিক্ষার উন্নয়ন ঘটেছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটি রয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে কর্মরত লাইব্রেরীয়ানগণ উপজেলায় স্থাপিত মসজিদ পাঠাগার সমূহ নিবিড় ভাবে পরিদর্শন করে থাকেন। জেলার যে কোন মসজিদ কর্তৃপক্ষ আগ্রহী হলে বিনামূল্যে নির্ধারিত ফরম পুরণপূর্বক অত্র কার্যালয় থেকে পুস্তক সংগ্রহ করতে পারেন।

৪।  ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমী কার্যক্রমঃ ১৯৭৯ সালে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমী প্রতিষ্ঠিত হয়। ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমী কেন্দ্রের মাধ্যমে ইমামদেরকে ইসলামিয়াত, গণশিক্ষা, পরিবার কল্যান, প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা ও প্রাথমিক চিকিৎসা, কৃষি ও বনায়ন, পশু-পাখি পালন ও মৎস্য চাষ বিষয়ে ৪৫দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়ে থাকে। ৭টি প্রশিক্ষণ একাডেমীর মাধ্যমে এ পর্যন্ত প্রায় ৬৬,০০০জন ইমামকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।কুমিল্লা জেলায় প্রশিক্ষন প্রাপ্ত ইমামের সংখ্যা ২০০০ জন । প্রশিক্ষনের আলোকে ইমামগণ আর্থসামাজিক উন্নয়নমুলক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত রয়েছে। এ কার্যক্রম রুটিন কাজ হিসাবে অব্যহত আছে। এ ছাড়া ডেইরী ফার্ম, মৎস্য খামার, কৃষি ও বনায়ন, পরিবেশ দূষণ, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদের প্রতিরোধ, দূর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠন, যৌতুক বাল্যবিবাহ, নারী ও শিশু নির্যাতন ও পাচার প্রতিরোধ, নারী অধিকার সংরক্ষন ইত্যাদি কাজে অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছেন।

৫। হজ্জ ব্যবস্থাপনাঃ সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ্জে গমনেচ্ছুকদের জন্য হজ্জ প্যাকেজ ঘোষনার প্রেক্ষিতে অত্র কার্যালয়ের পক্ষ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হাজী সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়ে সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে হজ্জ সম্পাদনের স্বার্থে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রেরিত আবেদন ফরম ও নিয়মাবলী সম্ভাব্য হজ্জযাত্রীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। সম্ভাব্য হজ্জযাত্রীদের মধ্যে সরকারী সুযোগ সুবিধাদি জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে উদ্বুদ্ধ করণ সমাবেশের মাধমে অবহিত করা হয়।  এ ছাড়া হজ্জ যাত্রীদের যাবতীয় সেবা প্রদান, হজ্জ সংক্রন্ত তথ্যাদি অবগত করন এবং হজ্জ যাত্রীদের প্রশিক্ষণ প্রদানসহ অন্যান্য কার্যক্রম এ কার্যালয়ের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়ে থাকে। 

৬। মানব সম্পদ উন্নয়নে ধর্মীয় নেতাদের সম্পৃক্ত করণ প্রকল্পঃ ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতায়  এবং UNFPA এর অর্থায়নে পরিচালিত ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর মাধ্যমে বাস্তবায়নাধীন মানব সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে প্রজনন স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, নিরাপদ মাতৃত্ব, আদর্শ পরিবার গঠন, পরিবার কল্যান,মাদকমুক্ত সমাজ গঠন, পরিবেশ দুষন, যৌতুক ও বাল্য বিবাহ নিরুৎসাহিত করন, স্যানিটেশন, জনসংখ্যার বিস্ফোরন রোধ, নারী অধিকার সংরক্ষন, এইচ, আই, ভি,এইডস, ইভটিজিং ইত্যাদি বিষয়ে বিভিন্ন পেশাজীবি,ধর্মীয়  নেতৃবৃন্দ, কাজী  এবং মহিলাদের তিন-চার দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে।  এ প্রকল্প বাস্তবায়নে জনসংখ্যা বৃদ্ধি হার রোধ, নিরাপদ মাতৃত্ব, আদর্শ পরিবার গঠনে, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতাবোধ জাগ্রত হচ্ছে এবং পরিকল্পিত পরিবার গঠনে তারা  উৎসাহিত হচ্ছেন এবং অন্যদেরকে এ বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করছেন।

৭।  ইমাম মুয়াজ্জিন কল্যান ট্রাষ্টঃ সরকার বাংলাদেশের সকল মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের কল্যানার্থে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যান ট্রাষ্ট আইন ২০০১ পাস করেছে। উক্ত ট্রাষ্টের আওতায় কুমিল্লা জেলার ইমাম ও মুয়াজ্জিনদেরকে ট্রাষ্টের আওতাভুক্তির লক্ষ্যে জেলায় ইমাম ও মুয়াজ্জিন কল্যান ট্রাষ্ট এর সদস্যভুক্তি কার্যক্রমসহ অন্যান্য কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। মাসিক চাঁদা ১০/- টাকা প্রদান করে এ পর্যন্ত জেলার প্রায় ১৫০০জন ইমাম ও মুয়াজ্জিন ট্রাষ্টের সদস্যভুক্ত হয়েছেন। জেলার সম্মানিত সকল ইমাম- মুয়াজ্জিনগণকে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ে অথবা উপজেলা পর্যায়ের মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পে নিয়োজিত ফিল্ড সুপারভাইজাদের সাথে অতিসত্বর যোগাযোগ করে মাসিক চাঁদা পরিশোধ পূর্বক সদস্য হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো। এ  ট্রাষ্টের সদস্যগণকে আর্থিক সাহায্য ও সুদবিহীন ঋণ প্রদান করা হয়। দুঃস্থ, অসহায়, অসুস্থ সদস্যগণকে আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হবে। এমতাবস্থায় নির্ধারিত ফরমে আবেদন করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

। প্রকাশনা কার্যক্রমঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন ইসলামী সাহিত্য ও আল কুরআনুল করীম মা‘আরেফুল কুরান,হাদীস গ্রন্থসহ  অসংখ্য বই প্রকাশ করে এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ইসলামের মৌলিক বিষয়াবলী, ইসলামের ইতিহাস, ইসলামী আইন, তাফসির, দর্শন, মনীষীদের জীবনী, ইসলামী অর্থনীতি, নারী অধিকার, দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম, ইসলামী বিশ্বকোষ, ফাতাওয়া ও মাসায়েল শীর্ষক গ্রন্থ এবং বিভিন্ন হাদীসগ্রন্থ প্রকাশনাসহ ইসলামিক ফাউন্ডেশন হতে এ পর্যন্ত প্রায় ৩,৬০০ শিরোনামের প্রায় ১ কোটি ৩৫ লক্ষের উপরে বই প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্য মাত্রার আলোকে বই বিক্রয়ের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করতে হয়। এ সকল বই জেলা কার্যালয়ের মাধ্যমে বিক্রয় ও বিপনন হয়ে থাকে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রকাশিত পুস্তক ক্রয়ে কোন টেন্ডার বা দরপত্রের প্রয়োজন হয় না। প্রতিটি অনুষ্ঠানে আপনার প্রিয়জনকে ও পুরস্কার বিতরণ                

অনুষ্ঠানে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রকাশিত পুস্তক সহজ মূল্যে ক্রয় করে বিতরণ/প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হলো। প্রকাশিত পুস্তকাবলী অত্র কার্যালয়ের বিক্রয় শাখা থেকে সহজ মূল্যে ক্রয়ের জন্য জেলাবাসীর সহযোগীতা কামনা করা হলো।

০৯। যাকাত বোর্ড কর্মসূচীঃ সরকার দেশের দুঃস্থ ও অসহায়দের কল্যানার্থে ১৯৮২ সালে যাকাত বোর্ড গঠন করেন। যাকাত বোর্ডের আওতায় যাকাত আদায়ের কর্মসূচী পালন করা হয়ে থাকে। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত ধর্মমন্ত্রীর সভাপতিত্বে দেশের খ্যাতমান আলেম ওলামাদের সমন্বয়ে যাকাত বোর্ড গঠিত। ইসলামের বিধান অনুযায়ীযাকাতের ৮টি খাতে অর্থ ব্যয় হয়ে থাকে।  দুঃস্থ ও অসহায়দের কল্যানে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। যাকাত ফান্ডের অর্থে সেলাই মেশিন, শিক্ষা উপকরণ, বৃত্তি প্রদান, রিক্সা/ভ্যান, হাঁস মুরগী/গরু ছাগল, গৃহ নির্মাণ এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ে অসহায় দুঃস্থদের পুনর্বাসনে সহায়তা প্রদান করা হয়ে থাকে। জেলা প্রশাসক ও জেলা যাকাত কমিটির সভাপতির মাধ্যমে যাকাত কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়ে থাকে। দুঃস্থ অসহায়গণ নির্ধারিত ফরম ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে সংগ্রহ পূর্বক উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে আবেদন করলে সাহায্য পাওয়া যাবে।

  জেলা চাঁদ দেখা কমিটির সভাঃ চন্দ্র মাসের সঠিক হিসাব নিরুপন এবং ধমীয় দিবস ও সরকারী ছুটিসমূহ সঠিক ভাবে নির্ধারণের জন্য চাঁদ দেখা কমিটির মিটিং গুরুত্বপূর্ণ। জেলা প্রশাসক এ কমিটির সভাপতি। জেলা চাঁদ দেখা কমিটির মাধ্যমে প্রতিমাসে সভা যথারিতি বাস্তবায়িত হয়ে আসছে। চন্দ্র মাসের সঠিক হিসাব-নিকাশে এ সভার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।

  ইসলামিক ফাউন্ডেশন লাইব্রেরীঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ের উপর গবেষণাসহ সর্বস্তরের জনগনের মধ্যে ইসলামী জ্ঞান বিকাশের সুযোগ  সুবিধা সৃষ্টির লক্ষ্যে জেলা পর্যায়ে লাইব্রেরী কার্যক্রম চালু রয়েছে। জেলা পাঠাগারে গবেষনা ধর্মী  ইসলামীজ্ঞান বিকাশে বহু বিরল বই রয়েছে। এ পাঠাগার ১৯৮০-৮১ অর্থ বছর হতে পাঠাগার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। জ্ঞান পিপাসু পাঠকদের জন্য এ পাঠাগারটি ইতোমধ্যেই সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে। সুতরাং জনচাহিদার প্রেক্ষিতে  লাইব্রেরী কক্ষ প্রশস্ত হওয়া জরুরী। সর্বমহলে এ পাঠাগারের কার্যক্রম সমাদৃত হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর প্রতিষ্ঠিত ইসলামিক ফাউন্ডেশন  সরকারী অর্থে পরিচালিত মুসলিম বিশ্বের অন্যতম একটি বৃহৎ সংস্থা হিসাবে ইতোমধ্যে নন্দিত হয়েছে। জ্ঞান পিপাসু ও গবেষক এবং আগ্রহী পাঠকগণ এ পাঠাগারে এসে জ্ঞান অর্জন ও গবেষণা কার্য সম্পাদণ করতে পারেন।

। মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর আহবানঃ মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর আহবানে সাড়া দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন, দিন বদলের সনদ বাস্তাবায়ন এবং ভিশন ২০২১বাস্তবায়নে কার্যালয়ের  পক্ষ থেকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে।  এছাড়া পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, সন্ত্রাস/জঙ্গীবাদের প্রতিরোধ, দুর্নীতি প্রতিরোধ ও মাদকমুক্ত সমাজ গঠনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা এবং বৃক্ষ সমৃদ্ধ  বাংলাদেশ গড়ার প্রয়াসে মসজিদের ইমাম ও ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ, মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পে নিয়োজিত শিক্ষক ও কেয়ারটেকার, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, কার্যালয়ের কর্মকর্তা- কর্মচারীদের প্রত্যক্ষ সহযাগীতায় বিভিন্ন  জাতের চারা রোপন ও পরিচর্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

      দ্বিতীয়তঃ সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতি প্রতিরোধ, ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ বিনির্মান সৎ , দক্ষ ও যোগ্য নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ প্রতিরোধ বিষয়ে জনগনের মধ্যে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি করা  হচ্ছে। গত ২০/০১/২০১০ তারিখে বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত জাতীয় ইমাম সম্মেলনে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর জন্য উপজেলা পর্যায়ে  উপজেলা অফিস স্থাপন এবং ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিতদের জন্য প্রায় ১ লক্ষ লোকের  কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির ঘোষনা দিয়েছেন এবং এজন্য ইতোমধ্যে প্রকল্প প্রস্তাবনা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। এ প্রকল্পটি একনেক কর্তৃক পাশ হলে প্রায় ১ লক্ষ লোকের  চাকুরীর সুযোগ সৃষ্টি হবে । আমরা মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর বলিষ্ট ভুমিকার প্রশংসা করি।

। মসজিদ জরিপঃ জেলার প্রকৃত মসজিদ কত? এর সঠিক পরিসংখ্যান জানা একান্ত আবশ্যক। এরই প্রেক্ষিতে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আহবানে সাড়া দিয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সম্পুর্ণ স্বেচ্ছা শ্রমে কার্যালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীদের তত্বাবধানে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমে নিয়োজিত ফিল্ড সুপারভাইজার, কেয়ারটেকার, শিক্ষক, মসজিদ পাঠাগার লাইব্রেরীয়ান এবং ধর্মীয় নেত্রীবৃন্দের সহযোগিতায় কোনরুপ অর্থ ব্যয় ছাড়া কক্সবাজার জেলার মসজিদ জরিপ কার্য সফল ও স্বার্থক ভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। এ জেলায় মসজিদের সংখ্যা ৩৯৭৬ টি।

।জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস বাদ প্রতিরোধ প্রকল্পঃ জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস বাদ দমনে একটি প্রকল্প গ্রহন করা হয়েছে । উক্ত প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি মসজিদে জুমার খুৎবার আগে এলাকাবাসী / মুসল্লিদের সচেতন করার জন্য ইমামদের দ্বায়িত্ব প্রদান করা হয় । ইমামদের এই বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। উক্ত কাজের প্রতিবেদন প্রতি মাসে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রধান কার্যালয়ে, জেলা প্রশাসক মহোদয় ও গোয়েন্দা সংস্থাকে প্রদান করা হয় ।

১৫। সেলাই প্রশিক্ষণঃ যাকাত ফান্ডের একটি অংশ দিয়ে দুঃস্থ, গরীব, অসহায় ও বিধবা মহিলাদেরকে সেলাই প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষনার্থীদের মাছে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়।

৬। অন্যান্য কার্যক্রমঃ যৌতুক ও মাদকের কুফল, বাল্যবিবাহ নিরুৎসাহিত করণ, ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রনয়ন ও দুর্নীতি মুক্ত সমাজ গঠনে সহযোগিতা, স্যানিটেশন, নারী ও শিশু নির্যাতন ও পাচার  প্রতিরোধ, এইচ,আই,ভি,এইডস, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, সন্ত্রাস/জঙ্গীবাদের কুফল বিষয়ে পুস্তিকা ও লিফলেট তৈরী ও বিতরণ, সচেতনতা সৃষ্টি, ধুমপান নিরুৎসায়িত করণ, এন,আই,ডি বাস্তবায়নে সহযোগিতা, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, প্রজনন স্বাস্থ্য  এবং নারী অধিকার সংরক্ষণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় ধর্মীয় নেতার মাধ্যমে জনগনকে অবহিত করা এবং  স্থানীয় প্রশাসন ও সরকার কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব তাৎক্ষণিকভাবে বাস্তবায়ন ও সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে।